রাণীশংকৈল উপজেলা হতে প্রায় দশ কিলোমিটার উত্তরে নেকমরদ স্থানটির মূল নাম ছিল ভবানন্দপুর। শেখ নাসির উদ-দীন নামক এক পূন্য বান ব্যক্তি ধর্ম প্রচারের উদ্দেশ্যে ভবানন্দপুর আসেন। তিনিই পীর শাহ্ নেকমরদ নামে খ্যাতিমান এবং তার নাম অনুসারেই ভবানন্দপুর পরবর্তী কালে নেকমরদ নামেপরিচিতি লাভ করে। নেকমরদ বাজারের পূর্বদিকে পীর শেখ নাসির-উদ-দীন নেকমরদের মাজার। তার সম্পর্কে জনশ্রুতি ছাড়া সঠিক ইতিহাসের সন্ধান পাওয়া যায় না। তবে অনুমান করা হয় সুলতানি তাঁর আগমন ঘটে। পীর শাহ নেকমরদ সম্পর্কে আছে নানান ধরণের চমকপ্রদ কিংবদন্তী। নেকমরদ এলাকাটি প্রত্ন উপকরণের সমৃদ্ধ। পীর শাহ নেকমরদের মাজার প্রত্ন উপকরণের মাঝে প্রতিষ্ঠিত বলে কিংকদন্তীর কাহিনী আরো জোরালো যেমন হিন্দু রাজত্বের শেষ যুগে ভীমরাজ ও পীতরাজ নামে দুইভাই এই অঞ্চলের শাসক ছিলেন। তাদের শাসন আমলে প্রজা সাধারণ ছিল নির্যাতিত। অনাচার, দুর্নীতি আর অরাজকতায় মানুষ ছিল অতিষ্ঠ। এমন দুঃসময়ে শেখ নাসির উদ্দিন নেকমরদ এই রাজ্জে প্রবেশ করেন। ভীমরাজ ও পীতরাজ কৌশল তাকে বাধা দিলে তিনি অলৌকিক ক্ষমতা বলে সেই বাধা ছিন্ন করেন।বিরক্ত হয়ে অত্যাচারী দু ভাইকে অভিশাপ দিলে তারা ধ্বংস হয়ে যায়। তাদের রাজধারীর ধ্বংসাবষের উপরনীরমিত হয় পীর শাহ নেকমরদের আস্তানা বিধ্বস্ত রাজধানীর উপর শুরু হয় নতুন জনপদের যাত্রা। পীর শাহ নেকমরদ পহেলা বৈশাখে ইন্তেকাল করেন। তার পূর্ণ স্মৃতিকে অম্লান করে রাখতে এই তারিখে পবিত্র ওরস উদযাপন ও বার্ষিক মেলার প্রর্বতন হয়। এই মেলাই হচ্ছে বিখ্যাত নেকমরদ মেলা।পীর শাহ নেকমরদের মাজারটি সম্পূর্ণ কাঁচা ছিল। মাজারের কারুকার্য খচিত চাঁদোয়া এবং জামে মসজিদটি প্রায় আশি বছরপূর্বে নির্মিত হয়।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস